এটাই হয়তো জীবনের শেষ রমযান। শেষ সুযোগ প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ! শেষ সুযোগ ক্ষমা লাভের…! গত রমযানে কতজন ছিলেন সাহরী ও ইফতারে; আজ তারা নির্জ ন কবরে! রমযান শেষে হয়তো আমার পালা তাহলে …! কিভাবে রমযানের প্রতিটি দিন-রাত ও মুহুর্ত ? কিভাবে ভাবতে শিখবেন এটাই হয়তো জীবনের শেষ রমযান? তাহলে পড়ুন “এটাই হয়তো জীবনের শেষ রমযান” বইটি।

ইবাদত ও সিয়াম সাধনার মাস রমাযান। মানুষের প্রত্যেক আমলের প্রতিদান বৃদ্ধি করা হয়। একটি নেকীর সওয়াব দশ গুণ থেকে সাতাশ গুণ পর্যন্ত। এজন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রজব ও শাবান মাসে এই দোয়া করতেন, হে আল্লাহ! আমাদের বরকত দিন রজব ও শাবান মাসে এবং আমাদের পৌঁ ছে দিন রমাযান মাসে। নববী আদর্শে কিভাবে রমাযানে সফল হবেন? জানতে হলে পড়ুন “আল্লাহুম্মা বাল্লিগনা রমাযান” এই বইটি।

রমাদান মাসে আমাদের কাজকর্ম, পড়াশুনা, পারিবারিক চাহিদা পূরণ ইত্যাদির পাশাপাশি অর্ধেক দিন সিয়ামরত অবস্থায় এবং বাকি অর্ধেক সময়ে রাতের ইবাদত এবং কু রআন তিলাওয়াতও করতে হয়। এটা নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং একটি কাজ। রামাদান মাসে কীভাবে এত এত চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করে আরো বেশি প্রোডাক্টিভ থাকা যায়, রামাদানের প্রস্তুতি, লক্ষ্য, পরিকল্পনা ও রুটিন বানাতে এ বই সহায়ক হবে ইনশাআল্লাহ।

ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ রোযা বা সিয়াম সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি? সাহরি, ইফতার, তারাবীহ ও জীবন ঘনিষ্ট এমন অনেক বিষয় আছে, যা লজ্জার আমরা কারো কাছে জানতে চাই না। ছোট্ট একটা ভু লেই আপনার সারা দিনের সিয়াম সাধনা বিফলে যেতে পারে। অথচ সিয়ামের সাধনার পুরস্কার আল্লাহ নিজেই দিবেন। বাংলা বর্ণানুক্রম অনুযায়ী প্রতিটি মাসআলা ও প্রবন্ধ বিন্যস্ত হওয়ায় আপনার যাবতীয় প্রশ্নের সমাধান অনায়াসেই খুঁজে পাবেন।

একবার এক ইহুদিকে আরবদের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছিল। ইহুদি উত্তরে বলেছিল, ‘আমরা আরবজাতিকে ভয় করি না। কারণ আরবজাতি পড়ালেখা করে না।’ আমাদের বাংলাদেশীদেরও একই অবস্থা অথচ ইলম অর্জ ন করা প্রত্যেক মুমিনের জন্য ফরজ। এজন্য পড়াশোনার বিকল্প কেবল পড়াশোনাই। কিন্তু আমার তো পড়ার অভ্যাস নেই। কোন বই পড়ব? কীভাবে পড়ব? আমি প্রাথমিক পর্যায়ের পাঠক, কীভাবে শুরু করব? এই সব প্রশ্নের উত্তরের পসরা নিয়েই পড়তে ভালোবাসি বইটি।

সংক্ষিপ্ত অথচ তথ্যবহুল এই গ্রন্থে চিত্রিত হয়েছে নবিজীবনের ছোট-বড় সমূহ দিক। তা ছাড়া লেখক এর উৎস বানিয়েছেন হাদিস ও ইতিহাসের কালজয়ী সব গ্রন্থকে। ফলে এটি অঘোষিতভাবেই হয়ে উঠেছে সময়ের এক শ্রেষ্ঠ রচনা। আর তাই হযরত থানবি রাহ. তাঁর খানকায়ে ইমদাদিয়ার পাঠ্যসূচিভু ক্ত করেন একে। এরপর থেকে আজ অবধি উপমহাদেশের মাদরাসাগুলোর সিলেবাসে সুবাস ছড়াচ্ছে গ্রন্থটি। এই বই পড়ে সিরাত সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আকারে বিস্তারিত ধারণা পাবেন।

তোমাকে ভালোবাসি হে নবী বইটি মূলত লেখক জনাব গুরুদত্ত সিং দারা, বি, এল - বার এট ল' (লাহোর) রাসূলে আরাবী' গ্রন্থের অনুবাদ। এই বই সম্পর্কে বিশ্বের সর্ববৃহৎ সীরাতগ্রন্থ প্রণেতা জ্ঞানতাপস আল্লামা সৈয়দ সোলায়মান নদভী (রহঃ)-এর মন্তব্য- অত্যন্ত উদার মন নিয়ে ইসলামের নবীর সংক্ষিপ্ত জীবনী লিখেছেন। তার লেখার হরফে হরফে প্রেম ও ভালোবাসার ‘আবে কাউছার” যেন ফোঁটায় ফোঁটায় ঝরে পড়ছে। পরিষ্কার বোঝা যায় যে, লেখকের কলম কেমন আবেগ-উচ্ছ্বাসের স্রোতে ‘প্রবাহিত' হয়ে চলেছে! আমি বইটি আগাগোড়া পড়েছি এবং একটি প্রেম-উদ্বেলিত গতিময় ভাষার রচনা হিসাবে বইটি আমার পছন্দ হয়েছে।